এক ঝলকে

10/recent/ticker-posts

Advertisement

8844

“নজর দাও স্বাস্থ্যে”। লিখেছেন শঙ্খ দত্ত। Sangramik


       করোনা আতঙ্কে আরেকবার সামনে আসছে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই মুহূর্তে এটাও প্রশ্ন উঠছে, তিন হাজার কোটি টাকার স্ট্যাচু না বসিয়ে ওই টাকায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভালো মানের হাসপাতাল তৈরি করলে দেশ টা কি আরেকটু এগোতো না ? 
 ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেনন্যাশনাল হেলথ প্রোটেকশন মিশনঅনেকে এটাকেই "মোদিকেয়ার" বলেছিলেনদেশের ৫০ কোটি মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যবীমা পৌঁছে দেবার যে  অঙ্গীকার করা হয়েছিলো, কত দূর এগোলো সেই ঘোষণাভারতবর্ষের ৬৬% মানুষ গ্রামে বাস করেন দেশের প্রায় ৪০% মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে বাস করেন ,  সেই দেশের সরকার এর কাজ হওয়া উচিত সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা গুলোকে আরও বেশি সাধারণ মানুষের  

ছবিঃ সংগৃহিত।
কাছে পৌঁছে দিতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ। কিন্তু হচ্ছে কোথায়এখনো দেশের বহু গরিব মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য বীমার মধ্যেই আসতে   পারেন নিস্বাস্থ্য মানে তো শুধু রোগ নয়বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, স্বাস্থ্য মানে শারীরিক,  মানসিক এবং সামাজিক ভাবে ভালো থাকা।  তবে কি  বিগত বছর গুলোতে ভারতবর্ষের স্বাস্থ্য পরিষেবার কোনো উন্নতি হয়নি? এখানে ওখানে কত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। কিন্তু এখানেই প্রশ্নটা আসে  সবার আগে স্বাস্থ্য পরিষেবা একটা দায়বদ্ধ সরকারের মৌলিক দায়িত্ব এটা আমরা মানছি তো ?  আসলে বিগত সময় গুলোতে অনেক কিছু পাল্টে গেছে, যাচ্ছে । ভারতবর্ষের মধ্যবিত্ত মানুষ, খুব একটা সরকারি হাসপাতালে যেতে চান বলে মনে হয়নাঅলিতে গলিতে এখন ছোট বড় নার্সিং হোমএমনকি সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই চলছে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপমোট কথা, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য টাকা দিতে হবে।  অথচ স্বাস্থ্য আন্দোলন অন্য কথা বলে।  এটা বলে যে, স্বাস্থ্য মানুষের অধিকার।  পৃথিবীর ইতিহাস দেখলে এটা দেখাই যায়, মানুষের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নেয়া রাষ্ট্রের পক্ষে অবশ্যই সম্ভব। চীন নিয়েছেনিয়েছে কিউবা। শ্রীলংকা নিয়েছেপুরোনো সোভিয়েত এর ইতিহাস পড়লে দেখা যায়, তারা নিয়েছিল।  তবে ভারত কেন পারবে নাশ্রীনাথ রেড্ডি পরিচালিত কমিটি সুপারিশ করেছিল, জিডিপি মাত্র % খরচ করলেই দেশের প্রত্যেক মানুষের জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার সুরক্ষিত করা সম্ভব কিন্তু হচ্ছে কোথায় ? এই মুহূর্তে খরচ হচ্ছে এক শতাংশের কিছু বেশিএই প্রেক্ষাপটে দেশ জুড়ে করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সাধারণ মানুষআতঙ্কের কারণ যতটা আছে , তার থেকেও বেশি আতঙ্ক তৈরী করে দেবার চেষ্টা গুলো বেশি  ল্যাটিন শব্দ 'করোনা' থেকে এর নামকরণ হয়েছেযার অর্থ 'মুকুট বা হার'একটা ভাইরাস কণার ব্যাস প্রায় ১২০ ন্যানোমিটারযাইহোক, প্রতিদিন দৈনিক খবরের কাগজে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বন্ধু দের পরামর্শ পড়ছেন, সাংগ্রামীকের পাঠক বন্ধুরা শুধু এটুকু বলি, সচেতনতা বাড়াতে হবে নিজে পরিষ্কার থাকতে হবে, নিজের আশপাশ টাকেও পরিষ্কার করে নিতে হবে আমাদের। করোনা আতঙ্কে দেশের বহু তাৎক্ষণিক সমস্যা আড়ালে চলে গেল, এটা যেমন সত্যি, তেমন দেশের এই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কে সাধারণ মানুষের পাশে যতটা সম্ভব রাখতেই হবে এখনসারাদিনে ২০ টাকা রোজগার করতে না পারা মানুষের জন্য মাস্ক এবং স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা করতেই হবে রাষ্ট্রকেনির্বাচিত দায়বদ্ধ সরকারকেশুধু মুখে " সবকা সাথ, সবকা বিকাশ " বলে ঘুমিয়ে পরলে চলবেনা         

Post a Comment

0 Comments