পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রাম সংসদ ধরে দেখলে দেখা যাবে , জব কার্ড এর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান মানে একশো দিনের কাজ।কিন্তু একশো দিনের কাজ দিয়ে সারাবছরের রুটি রুজি কি সম্ভব ? বহু পরিযায়ী শ্রমিকরা দিন মজুর।এদের বিকল্প কর্মসংস্থান কোথায় তৈরী হবে? এই প্রশ্ন গুলোই যেন আড়ালে চলে যাচ্ছে প্রতিদিন।হৈচৈ করে রাম মন্দির তৈরী র ভূমি পুজো হয়ে গেল দেশে।ভগবান রাম এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , রাম মন্দিরে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাওয়া কি সম্ভব ? তাহলে রাষ্ট্রের ভূমিকা কি , নির্বাচিত সরকারের কাজ কি , নতুন " ডিজিটাল ভারতে " সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।অনেক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে যতটা বুঝেছি , বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভাড়া করা বদ্ধ ঘরে থাকেন , বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো নথি তাদের কাছে থাকেনা , অনেক ক্ষেত্রেই অমানবিক বেঁচে থাকা।১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে প্রায় অর্ধেকের ই বয়স ২৭ বছরের কম।পড়াশোনা শেষ করে প্রতি মাসে চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে লক্ষ লক্ষ তরুণ।এদের ভবিষ্যৎ কি? প্রতি বছর দুই কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি খোলা চোখে দেখতে পাচ্ছেন না কেউ ই।দেশের মধ্যে প্রথম সারির থিঙ্ক ট্যাংক , সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি গবেষণা করে বলছে , লক ডাউনের মধ্যেই ভারতের সোয়া বারো কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছেন , যাদের বেশির ভাগ টাই দিন মজুর।অবাক লাগে এদের জন্য কোনো সামাজিক সুরক্ষা নেই , বেঁচে থাকার ন্যূনতম কিছু নেই।এর মধ্যেই ধর্ম দিয়ে মাতিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে দেশ জুড়ে।জীবনের মূল সমস্যা গুলোকে আড়াল করার জন্যই ধর্মের মোড়কে রাজনীতি ঢুকছে ড্রইংরুমে।প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ প্রকল্পে পর পর তিন মাস পাঁচশো টাকা করে দেয়া হয়েছে।এই মূল্যবৃদ্ধির সময়ে মাসে মাত্র পাঁচশো টাকা কতটা পর্যাপ্ত ? অসংগঠিত শ্রমিক , নির্মাণ শ্রমিক , দিন মজুর , রিকশা চালক দের পাশে দাঁড়াতেই হবে নির্বাচিত দায়বদ্ধ সরকারকে।সর্বস্বান্ত গরিব মানুষ লক ডাউনের মধ্যে বেঁচে থাকবে কি করে , এটাই এই মুহূর্তের জরুরি প্রশ্ন।
0 Comments