শঙ্খ দত্ত: বিহার এর সাম্প্রতিক ফল ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের ভোট যখন আগামী বছর, চা এর দোকানে বসে সেই চর্চাও চলছে জোর কদমে। কপালে গেরুয়া তিলক কেটে পাড়ায় বিজেপি-র লোক জন যতই এই ফল নিয়ে হৈচৈ করুক, বাস্তবে বিজেপি-র রাজনীতিটা যারা বোঝেন, তাদের চিন্তা বাড়ছে বৈকি। গণতন্ত্রে যতই বিজেপি-র নেতৃত্বে এনডিএ বিহারে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে থাকুক,
আর.জে.ডি-র কাছে একক ভাবে বিজেপি হেরেছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহই থাকতে পারে না। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন দিয়ে যদি ভাবি, এক বছরের মধ্যেই বিজেপি জোটের ১৬% ভোট কমেছে বিহারে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস আর আর.জে.ডি একসাথে যে ভোট টা পেয়েছিলো, এবারে একক ভাবেই আর.জে.ডি সেই ভোট পেয়েছে। কাজেই বহু মানুষ বিজেপি-র বিরুদ্ধে আর.জে.ডি কে ভোট দিয়েছে, এটা পরিষ্কার। বিগত ছ’টা বছর ধরে দেশের সরকারে বিজেপি থাকার পরেও দেশের মানুষের মৌলিক সমস্যা গুলো কমলো কোথায়? কালো টাকার বিরুদ্ধে এতো চিৎকার, তারপরেও বিজয় মালিয়া এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেলেন। ঋণ খেলাপি হিসেবে তাকে ধরা গেলো কই?
_______________________________
*অনুরোধ*
আমাদের চ্যানেলের নিয়মিত খবর পেতে ইউটিউবে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
_______________________________
প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। চৌকিদার এর সামনে দিয়ে "মেহুল ভাইয়া" রা দেশের বাইরে পালাচ্ছেন ঠিক ই, চৌকিদার যেন এসব প্রশ্নে উদাসীন। এর পরেও তার মন কি বাত থেমে নেই। বছরে দুই কোটি বেকার এর চাকরির প্রতিশ্রুতি, আর মুখেই আনে না চৌকিদার এর দলবল। তবু নাকি আচ্ছে দিন। এই কোভিড পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে সয়া বারো কোটি মানুষ কাজ হারালেন, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান কি হবে কেউ জানেন না। এর মধ্যেই রাম মন্দির এর ভূমি পুজো হয়ে গেল হৈচৈ করে। ভগবান রাম কে প্রতিদিন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার চলছে, তার বিরুদ্ধে সচেতন জনমত তৈরী হচ্ছে দেশ জুড়ে। দেশের অর্থমন্ত্রী একটার পর একটা প্যাকেজ ঘোষণা করছেন , তারপরেও দেশের জিডিপি লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে।
মানুষ নিজেদের জীবনে কোনো উত্তরণ বুঝতে পারছে না। সোনার বাজার ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, সোনার কাজ করতে অন্য রাজ্যে যাওয়া ছেলেরা নিজেদের বাড়ি ফিরে একশো দিনের কাজ করছে, এটাই গ্রাম ভারতের চিত্র এখন। এর মধ্যেই বিহারের ভোট হয়ে গেল। বিজেপি হয়তো জে.ডি.ইউ কে সঙ্গী করে কোনো রকমে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলো, কিন্তু বিজেপি বিরোধী শক্তির প্রতিনিধি হয়ে তেজস্বী যাদব এগিয়ে গেলেন অনেক খানি। তেজস্বী-র প্রতি মানুষের ভরসা বেড়েছে, তেজস্বী-র ও বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। আগামী দিনে দেশের সর্বত্র বিজেপি কে হারাতে হবে, এই সংকল্পে প্রস্তুত হচ্ছেন মানুষ।
0 Comments