নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিপিআই(এম)পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য কমিটির সদস্য,অধ্যাপক আন্দোলনের অগ্রনী নেতৃত্ব, প্রাক্তন সাংসদ, রাজ্যের প্রাক্তন
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী প্রয়াত কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরীর ‘স্মরণ সভা’ হল ২৯ শে আগষ্ট রবিবার
হুগলীর শ্রীরামপুর রবীন্দ্রভবনে। উপস্থিত ছিলেন
সিপিআই(এম)পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমান বসু,পার্টি নেতা শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সিপিআই(এম)
হুগলী জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, কমরেড শান্তশ্রী চ্যাটার্জী, রূপচাঁদ পাল, সুদর্শন
রায়চৌধুরীর সহধর্মিনী কমরেড মীনা রায়চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান সহ বিশিষ্ঠ
ব্যক্তিবর্গ।
সিপিআই(এম)পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির
সদস্য, হুগলী জেলার প্রাক্তন সম্পাদক কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরী ৩১শে জুলাই সন্ধ্যায়
হুগলীর উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারী হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন।অধ্যাপক আন্দোলনে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি গণ আন্দোলনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও
অগ্রনী ভূমিকা গ্রহন করেছেন কমরেড রায়চৌধুরী।
এদিন স্মরণ সভার শুরুতে কমরেড সুদর্শন
রায়চৌধুরী প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্টি নেতা ও কর্মীরা। স্মরণ
সভায় স্মৃতি চারনা করতে গিয়ে সিপিআই(এম)পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমান বসু বলেন ‘একজন
পূর্ণাঙ্গ কমিউনিস্ট হয়ে ওঠার সব গুণাবলিই তাঁর মধ্যে ছিল। যে কথা মাথায় রাখতে হবে
আজকের প্রজন্মকে, ভালো কমিউনিস্ট হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো ভালো মানুষ হয়ে ওঠা।চিন্তার
ঐক্য, ইচ্ছার ঐক্যের মধ্য দিয়েই কাজের ঐক্য গড়ে ওঠে যা শিখিয়ে গেছেন কমরেড সুদর্শন
রায়চৌধুরী’।
প্রয়াত কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শ্রীরামপুর রবীন্দ্রভবনে
এদিন পার্টিনেতা, কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ভীর ছিল চোখে পড়ার মতো।প্রাক্তন
ছাত্ররা যেমন এসেছেন তাঁদের প্রিয় স্যারকে শ্রদ্ধা জানাতে, তেমনি জেলা থেকে অগণিত মানুষ
এসেছেন তাঁদের নেতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। স্মরণে-শপথে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে
শেষ হয় এদিনের সভা।
0 Comments